চেদাঃ
সেরমা মা চটেরে সৗরি হো
রিমিল মা হুডুরঃ কান।
পুখরি মা ঘাটেরে সৗরি হো
রটে মাম রারাঃ কান।
রাঃ তেম হমরঃ কান চেদাঃ হো
দাঃ মা দারায় তে।
আতো মা ডিহিরে সৗরি হো
সাকওয়া মা সাডেঃকান।
বির মা বুরুরে সৗরি হো
জিলমাম ঞিঃঞির কান।
ঞিরতেম দৗদৗড়কান চেদাঃ হো
সেঁদরা কো দারায় তে।
আখড়া মা সাসড়ারে সৗরি হো
মাচেৎমাম চেঃচেৎ কান।
পৗঠুঅৗ মা গিদরৗরে সৗরি হো,
সেচেৎমাম চেঃচেৎ কান।
চেচেৎতেম সেঃচেৎ কান চেদাঃ হো
অৗকিল গেয়ান আরজাওতে।
আখড়া মা বুটৗরে সৗরি হো
টামাক মা সাঃডেকান।
মৗদৗড়িয়ৗ মা নাচোনিয়ৗরে সৗরি হো
এনেচ্ মাম সেঃরেঞ কান।
সেরেঞ তেম এনেচকান চেদাঃ হো
রৗস্কৗ মা মেটাওতে।
কেন —
শ্যামচরণ হেমব্রম। বাংলা অনুবাদ – ডঃ সুহৃদ কুমার ভৌমিক।
উপরের আকাশে ঐ
মেঘের গর্জন,
আর পুকুরের ঘাটে শোনা যায়
ব্যাঙের ডাক।
কেন ডাকে ব্যাকুল হয়ে,
বৃষ্টির আমন্ত্রণে।
গ্রামের প্রান্তরে শোনা যায়
শিঙার ডাক।
পাহাড়ের উপর বনে দূরে পালিয়ে বেড়ায়
হরিণের দল।
কেন হরিণ ছুটে পালায়
শিকারীর আড়ালে।
আর ঐ পাঠশালায় গুরু
শিক্ষাদান করছেন।
পড়ুয়ারা গভীর মেনোযোগ সহকারে
তাই পাঠ করছে।
কেন তারা এমনি পড়াশুনা করছে।
সে কি শুধু বিদ্যা ও জ্ঞানের জন্য।
গ্রামের প্রান্তরে আখড়ার আসরে
ধামসা ধ্বনিত হচ্ছে।
সাদলিয়া পুরুষের দল নর্তকীদের ঘিরে
নৃত্য ও গীতের চলেছে তরঙ্গ।
কেন তারা নাচগান করে
শুধু কি আনন্দ মেটাতে।
দুলড়ি! দুলড় দ অকা বাম লই আদিকা
বইশক্ — ঝেট সরদি সেতোং লল
ইঞদ শিকরিয় তেতাংতে টলমল
আমদ দাঃ এম লিঁগিন কানা ঝারনা বুরু ঘাটরে
কয় তরা রস্ক মনেতে দাঃ এম এমাদিঞা
এগো দুলড়িয়! দুলড় দ অকা বাম লইআদিঞা।
আষাঢ় — শান ঝমর ঝমরে জড়ি
ইঞদ রপুৎ অড়াঃরে দাঃ জরঅঞ আড়ি
আম দ সাঁখারিয় জর বাড়ে চাঁগা ডাহাররে
মেনতরা কুশিমনেতে জিউয়ি হড়মম উমুলকেৎ তিঞা
এগো দুলড়িয়! দুলড় দ অকা বাস লই আদিঞা।
ভাদর-দাঁশায় দ বদ খেতরে আনাজ
ইঞ্চদ জারমাৎ তারমাৎ নাচার রেঁগেছ
আমদ ধবম বীর বিলি তালে আহার ঘাটরে
কয়তরা নিরড় মনেতে জমাঃ এম এমা দিঞা
এগো দুলড়িয়! দুলড় দ অকা বাম লই আদিঞা।
সহরায় - আঁখাড় রেয়াড় রাবাহ ঞুরুঃআ ঞিদ শিশির
ইঞ্চদ কেটো হড়ম রাবাংতে লুকুৎ লুকুৎ থির
আমদ সিঞ্চবীর রাবাংতে দারাম ধুড়ি ধারতিরে
কয়তরা নাপায় মনেতে সেতোংএম এমা দিঞা
এগো দুলড়িয়! দুলড় দ অকা বাম লই আদিঞা।
পুষ-মাগ দ ঘরই, অড়াঃরে আনাজ
ইঞদ পেরেচ্ এনতিঞ রেঁগেচ তেতাং জনিচ্
আমদ হউসি রুসিকা জজবুট লাগচার আখড়ারে
ফুলিতরা লাঁদাশতে আমাঃ উপুরুমেম লই অদিঞা
এগো দুলড়িয়! দুলড় দ অকা বাম লই আদিঞা।
ফাগুন-চত বির বুরুরে বাহা রেয়াঃ স-সঁধাড়
ইঞদ সাহেৎকাতে আঁগচ্ লাগিৎ্ইঞ বাহা সাড়
আম দ হয়-বীর দান এদাম সঁধাড় বসমতারে
কয় তরা সঁধাড়েম হেলকাতে আদিঞা
এগো দুলড়িয়! দুলড় দ অকা বাম লই অদিঞা।
প্রিয়তম, প্রেম কোথায় বলোনি আমায় — শ্যামচরণ হেমব্রম
বাংলা অনুবাদ - ডঃ সুহৃদ কুমার ভৌমিক।
বৈশাখ জ্যেষ্ঠের ভর দুপুরের ঘরায় জ্বলে আগুন। ক্লান্ত শিকারী আমি।
তৃষ্ণায় শরীর টল-মল। পাহাড়ের ঝরনা তলায়, তুমি জল ঝরিয়ে দাও।
চাইতে না চাইতে মনের আনন্দে আমায় জল দান করলে।
‘‘হে প্রিয় আমার তবু প্রেম কি বলোনি আমায়।’’
আষাঢ় শ্রাবণ ধরে ঝম ঝম বৃষ্টি পড়ে।
আমি জীর্ণ কুটীরে আর বৃষ্টি ধারা পড়ে আমার উপর।
তুমি বহু শাখা ভরা বিশাল বট — এক রাস্তায় তে-মাথার মোড়ে দাঁড়িয়ে।
বলা মাত্রই মনের খুশিতে তুমি আমার জীবন ও শরীরকে করলে ছায়া দান।
‘‘তবু, প্রিয়তম, প্রেম কি বলোনি আমায়।’’
ভাদ্র ও আশ্বিন খেত প্রান্তর ভরে গেছে শ্যামল শস্য দানায়।
আমি হলেম অনাদরে অবহেলায় অসহায় ক্ষুধার্ত মানুষ।
ধর্মে বীরাঙ্গনা তুমি, পাকা ফল, শস্য ক্ষেতে ও ঘাটে।
চাইতে না চাইতে খুশির জোয়ারে আমায় দিলে খাবার।
‘‘হে আমার প্রিয়, তবু প্রেম কি বলোনি আমায় !’’
কার্ত্তিক অগ্রহায়ণে ঠাণ্ডা শীত রাতে ঝরে পড়ে শিশির।
নগ্ন শরীরে আমি হাড় কাঁপুনি শীতে থর থর করি।
তুমি সূর্য বীরাঙ্গনা। শৈত্য প্রতিহত কর ধূলায় পৃথিবীতে।
চাওয়া মাত্রই শুভ চেতনায় আবৃত তুমি আমায় দিলে রুদ্র সূর্য কিরণ।
‘‘তবু প্রিয়তম, প্রেম কি বলোনি আমায়।’’
পৌষ মাঘে ভরে উঠে খামার। ঘরে ঘরে সোনালী শস্য।
আমার পূরণ হল ক্ষুধা ও তৃষ্ণা। কি উৎসাহী সুরসিকা তুমি !
তাই পুরনো তেঁতুলগাছের তলায় আখড়ায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে
জানতে চাওয়া মাত্রই তুমি হাসি মুখে জানালে তোমার পরিচয়।
‘‘ওগো প্রিয়তম, তবু প্রেম কি, বলোনি আমায় !’’
ফাল্গুন-চৈত্রে পাহাড় ও বনভূমি ফুলের সুগন্ধে আচ্ছন্ন।
তবুও আমি পূর্ণশ্বাসে ঘ্রাণ নেবার জন্য ফুল ধারণ করি।
তুমি বায়ু-বীরাঙ্গনা দান করে যাও সুগন্ধ এই ধরিত্রীকে।
চাওয়া মাত্রই ছড়িয়ে দিলে সৌরভ আমার উপর।
‘‘হে আমার প্রিয়, প্রেম কি তুমি বলোনি আমায়।’’
জিউয়ি তিঞ দ দাটপাটাঃকান তিঞা
বাবু হানে করগেল মড়ে বছর লাহা —
বইশক কাঁ রেনাঃ মিৎটাং তিকিন
জারাল জারাল সরদি সিতুং
হড়মরে বালবালাও উদগরদাঃ
ঘটখুর বুরুখন বহঃরে সাহান দিপিল কাতেঞ
আঁড়গোনকান আর আম দ ইঞাঃ রহড় দারে
কোলে কুখী ভিতরীরেস তাঁহেকান।
হরতে হিজুঃ হিজুঃতেগে উতর পুদিম নাখা
কোদবেলে সিক হেঁদে রিমিলে রাকাপ্ কেদা।
রিপ্ রিপ্ ঘুটু, জারালাটা জানহেগডা সেটেরঃ সেটেরঃ তেগে
বইশক ভারডোয় ঘেরাও এসেৎ কিদিঞা।
জাঁহা লেকাতে জোরোবাড়ে বুট হাবিচ্ইঞ
সহর সেটেরেনা।
হাদার হাদার হয়, ইন তায়ম আরেল মেশা জড়ি !
কাহু-কিশীন ক তুঁবুৎ্ ঞুরুঃকানা
চাগাড় ঞুর এনা মিৎটাং ডর !
ইঞদ লুকুৎ্-লুকুৎ্ জরবাড়ে কচারে
লাড়-এ পিটয়াকান !
দাঃ আসোড় অড়াঃ ইঞ হেচ্ এনা।
অকাহিলঃ কোলকাতারে চাকরী রেয়াক্
ইন্টারভিউ তাঁহেকান তামা আর—
সেনঃ লগিৎ ভাড়া বাং তাঁহেকান তামা
উন, ইঞাঃ সক রেনাঃ রূপেগর চুড়ি
তিনকড়ী সুঁড়িঠেন বন্ধক কাতে
ভাড়া পুইসঞ জোগাড়াৎ্ মেয়া
আরেম সেন এনা ইন্টারভিউ এম
চাকরীহঁস ঞাম কেদা, সংসারাৎ মেয়ালে’.....
আম বাবা দ আম পাড়হাওসে লগিৎতে
এতম-কোঁয়ে তারেন ডোহোলেন তায়া, জাঁগা দারপালেন তায়া
অখিররে দ সাঁগিঞ লেমেঞ গিতিল টাঁডিতে
মাগাড়ৎপীয় সেন এনা !!
ধরতি দ অডি অরু আকানা—
আর অরুক্ কান্ গেয়া।
ইঞদ সেনখান রিপ্ রিপ্ ঘুটুরে, সেরমিঞ গুপিকান গেয়া।
আবো আতোরে বাহা মাঃ মড়েক দিন আকাদা—
দিন দ — দারাকান ফাগুনবঁগা বালে মোলোঃ মঁড়েমাহাঁরে সরদী।
অনাতে বাবু জাঁহাতিস দপে হেচ্এন আর বাপে হেচ্এন
ইঞাঃ আরদাশ, নিয় বাহা বঁগা হিলঃ দ
আম, কিমিনিঞ, গড়মিঞ সানাম হড়গে উবিসপে হিজুঃগেয়া।
গড়সিঞ তাকিন মেঁৎতে ঞেলকিন লগিৎ
জিউয়িডিঞ দ ছাটপাটাঃকানডিঞা।
জীবন আমার ছটফট করছে — শ্যামচরণ হেমব্রম।
বাংলা অনুবাদ – ডঃ সুহৃদ কুমার ভৌমিক।
বৎস! সেই যে পঁচিশ বৎসর আগের কথা
বৈশাখ মাসের একটা ভরা দুপুর
ঘন রৌদের ঝাঁজ
সারা শরীরে ভেজা ঘাম
ঘাটঘুরা পাহাড় থেকে মাথায় কাঠ বয়ে নামছিলাম
আর তখন তুিম আমার গর্ভে ছিলে।
হেঁটে হেঁটে আসার প্রাককালে, বায়ু কোনে
জামুন পাকার মত কালো মেঘ ঘন হয়ে উঠল।
রিপ্ রিপ্ ঘুটু, জারালাটা কদমাঠ পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই
কালবৈশাখী ঝড় আমায় ঘিরে ফেলে।
কোন রকমে বটবৃক্ষতলা পর্যন্ত পৌঁছাইলাম।
একগুচ্ছ শুকনো বাতাস্, তারপর হুলমিশ্রিত মুসলধার বৃষ্টি।
কাক, শালিক নতমস্তক হয়ে ভূমিতে পতিত হচ্ছে।
ভেঙ্গে পড়ল একটা গাছের ডাল।
আমি কিন্তু থরথর বটবৃক্ষের এক কোনায়
সর্ব বসিয়াছে !
বৃষ্টি থামার পর বাড়িতে এলাম।’
‘যেদিন তোমার কোলকাতাতে
সাক্ষাৎকার পরীক্ষার দিন ধার্য ছিল
এবং তোমার কাছে সাধ্য মত কড়ির অভাব ছিল
তখন, আমি আমার সখের, স্মৃতির রূপো চুড়ি
তিনকড়ি সুঁড়ির কাছে বন্ধক দিয়ে
ভাড়া তোমায় জোগাড় করে দিই
চাকরীও পেলে, তোমার সংসারও বেঁধে দিলাম’.....
তোমার বাবার তোমাকে লেখাপড়া শেখাবার জন্য
উত্তর-দক্ষিণ দুই কাঁধ ফুলে ছিল, পা ফেটেছিল
কিন্তু শেষ পর্যন্ত —
অকালে তার স্বর্গবাস হল !!
এই পৃথিবীর অনেক পরিবর্তন হয়েছে
এখনও হচ্ছে।
আমি কিন্তু সেই রিপ্-রিপ্ ঘুটুতে, এখনও ছাগল চরাইতেছি।
আমাদের গ্রামে বাহা মাঃমড়ে পূজা-পার্ব্বনের দিন ধার্য হয়েছে
ঐ দিনটা হল আগামী ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমার পর পাঁচদিনে।
তাই বৎস ! কোন দিন এসো বা না এসো
আমার নিবেদন এই বাহা পূজার দিনে
তুমি, বৌমা, নাতি-নাতনী সকলে এসো।
নাতি-নাতিনীকে চোখে দেখার জন্য
আমার জীবন ছটফট করছে।
চেৎ লগিৎ ভগনাডিহিরে সাকওয়া সাডেকান ?
চেৎ লগিৎ ভগনাডিহিরে সাকওয়া সাডেকান ?
চেৎ লগিৎ সিধু-কানুকিন দেলা-দেলাঃকান ?
চেদাঃ তেহেঞ এমঃ হোয়োঃ
খাজনা বিশি,
চেদাঃ তেহেঞ সাহাও হোয়োঃ
রডচ্ কচলন ?
ঘুঁটকাটি বেনাও হাসা
আদঃ কানা,
এনরেহঁ ঋন দ উকুর
হালাঃ কানা ?
চেৎ লগিৎ ভগনাডিহিরে সাকওয়া সাডেকান ?
চেৎ লগিৎ সিধু-কানুকিন দেলা-দেলাঃকান ?
সুমিদার, ঠিকদার, মহাজন কওয়াঃ
জোরজুলুম সিঁয়জরি !
আদঃ কানা ঘেরওয়াল কওয়াঃ
হক আর অইদরি।
জানাম আড়াৎ জানাম পরসি
হেঁহোলোগোঃ কানা,
এনেচ্, দন, সেরেঞ — দুরং
তেনঃ কানা।
চেৎ লগিৎ ভগনাডিহিরে সাকওয়া সাডেকান ?
চেৎ লগিৎ সিধু-কানুকিন দেলা-দেলাঃকান ?
লায় লাগচার সেরওয়া নেমাচার দ
উনুরুম কানা,
সাঁওহেৎকরিগে সাঁওয়া রেনাঃ
অরসি কানা।
বির বুরু জানাম দিশম
দোঃ লগিৎ
মিৎ মনমি লেকাতে বাঞ্চাঃ লগিৎ
সাকওয়া দ সাডে কানা।
অনা লগিৎ ভগনাডিহিরে সাকওয়া সাডেকান—
অনা লগিৎ সিধু-কানুকিন দেলা-দেলাঃকান ?
ভগনাডিহিতে কেন সিঙ্গা বাজিতেছে — শ্যামচরণ হেমব্রম।
বাংলা অনুবাদ – ডঃ সুহৃদ কুমার ভৌমিক।
ভগনাডিহিতে কেন সিঙ্গা বাজিতেছে ?
সিধু-কানু কেন আসার জন্য ডাকিতেছে ?
আজ কেন এত বেশী
খাজনা দিতে হবে,
আজ কেন সহ্য করিতে হইবে
এত শোষণ ?
আমাদের খুঁটকাটি জমিন
লুটিয়ে নেওয়া হচ্ছে,
তবুও কেন ঋণ শোধ হয় না ?
ভগনাডিহিতে কেন সিঙ্গা বাজিতেছে ?
সিধু-কানু কেন আসার জন্য ডাকিতেছে ?
জমিদার, ঠিকাদার ও মহাজনের
এত বেশী জোর জুলুম সন্ত্রাস !
খেরওয়ালদের হক এবং অধিকার
দিনের পর দিন হারিয়ে যাচ্ছে।
মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি অবহেলিত
পারস্পরিক নাচ-গান কেন গুরুত্বহীন ?
ভগনাডিহিতে কেন সিঙ্গা বাজিতেছে ?
সিধু-কানু কেন আসার জন্য ডাকিতেছে ?
সংস্কৃতি, পরম্পরা, লোকাচার
এটাই আমাদের অস্মিতা
সাহিত্য, কলাই আমাদের
সমাজের দর্পন।
বন-জঙ্গল পাহাড়-পর্বত ও
জন্মভূিম রক্ষার জন্য
একজন মানুষের মত বাঁচার জন্য
সিঙ্গা বাজিতেছে।
তাই ভগনাডিহিতে সিঙ্গা বাজিতেছে।
তাই সিধু-কানু আসার জন্য ডাকিতেছে।
বাডোহি
— শ্যামচরণ হেমব্রম।
কুঁব অড়াঃ রেনাঃ
ঘারঞ বতি মারসাল
জরিয় কাতে
বাডোহি —
আম দ কুঁদউমে
সরেস ঘন সরেস
চিঁকড় ঘন চিঁকড় করি।
আমাঃ কুঁদউ করি দ
ঘারঞ্চ সাঁওতা দিশম অরসি,
অনা আরসিরে
তেবাগঃআ—
যাঁহা আমেম জরিয় আকাদা
অনা রেনাঃ সনত চিতর !
চেদাঃ স্যে —
ফগুন বঁগা হরয়র বিররে
নীম সাকাম, হেসাঃ সাকাম
সাগেনঃআ।
এদেল বাহাঃআ, গুলচ বাহাঃআ
কুহু চেঁড়েয় রাগা
রস্ক নাঁওয়াঃআ।
অনাতে—
আমদ বাডোহি.....
বাতোয় ইদিমে
সনত ঘন সনত; চঁহট ঘন চঁহট করি !!!
কুঁড়ে ঘরের
প্রজ্জ্বলিত প্রদীপ
সাক্ষী রেখে
কারিগর—
তুমি তৈরী করো
উত্তম থেকে অতি উত্তম
মসৃণ থেকে অতি মসৃণ কলা।
তোমার নির্মিত কলা
সমাজ ও দেশের আয়না,
ঐ দর্পনে
প্রতিবিম্বিত হবে—
যেটা তুমি সৃষ্টি করেছ
তারই অবিকল সত্য চিত্র !
কেননা —
ফাল্গুন মাসের সবুজ বনে
নীম পাতা, অশ্বত্থ পাতা
অঙ্কুরিত হবে।
শিমুল ফুল, পলাশ ফুল ফুটবে
কোকিল কলরব করবে
আনন্দ নতুন হবে।
তাই —
তুমি দক্ষ কারিগর .....
তৈরী করে চল
উত্তম থেকে অতি উত্তম;
সুন্দর থেকে অতি সুন্দর !!
কারিগর — শ্যামচরণ হেমব্রম।
বাংলা অনুবাদ – ডঃ সুহৃদ কুমার ভৌমিক।
কুঁড়ে ঘরের
প্রজ্জ্বলিত প্রদীপ
সাক্ষী রেখে
কারিগর—
তুমি তৈরী করো
উত্তম থেকে অতি উত্তম
মসৃণ থেকে অতি মসৃণ কলা।
তোমার নির্মিত কলা
সমাজ ও দেশের আয়না,
ঐ দর্পনে
প্রতিবিম্বিত হবে—
যেটা তুমি সৃষ্টি করেছ
তারই অবিকল সত্য চিত্র !
কেননা —
ফাল্গুন মাসের সবুজ বনে
নীম পাতা, অশ্বত্থ পাতা
অঙ্কুরিত হবে।
শিমুল ফুল, পলাশ ফুল ফুটবে
কোকিল কলরব করবে
আনন্দ নতুন হবে।
তাই —
তুমি দক্ষ কারিগর .....
তৈরী করে চল
উত্তম থেকে অতি উত্তম;
সুন্দর থেকে অতি সুন্দর !!