সোঁদরবনের তরজা কথা - সুশীল মণ্ডল


চোলিকে পিছে না বলে
বলা ভাল চোলাইয়ের পিছনে।
ভরসন্ধ্যেবেলা মাগীমদ্দর কুটপাট মুখচালা
রাত বেশী অন্ধকার হলে
মিনসের আদরে ঝুলকালি সুন্দরী
রাঙা হয়ে ওঠে।

টুসুকে ঘিরে ধামসা নাচ —
হেঁড়ে মদের ফোয়ারা
মাগীমদ্দর ঢলাঢলিতে
লাজ লাগে টুসুর, মুচকি হাসে
জিভ দিয়ে ঠোঁট চাটে।

জেবনটা মধুর নয়
সারাজীবন মধু চাটল পরান
কাট চাই কাট চাই
পরশমনির হাটে কাট চাই
কাট কাটতে কাটতে
জেবন হল পোড়াকাট।
নাতবৌ ঘরে এল
ছুঁড়ি বড় অলুক্ষণে
পরান গেল বাঘের প্যাটে।

মোহময়ী নদী
গভীর জঙ্গলের হাতছানি
ছেলেটাকে কবিয়াল করে তোলে
আপন মনে গান ভাঁজে
জীবন এত ছোট কেনে।

বাহারী কনের রূপে ঝামা ঘসলো
আয়লা। পোড়ামুখির জ্বালায়
বাঁজা হল ফলবতী জমির তলপ্যাট
নয় নয় করে পাঁচ সাল
গোবিন্দ কয়াল আজকাল
ছানাপোনার নড়ন চড়ন ঠাহর পায় না।

বনের রূপে মজল িবনোদ বেরা
দুবিঘে জমিতে ফসল নেই বহুকাল
লোনা জলের ঠ্যালা, লাগাতার বন্যে —
তাতে কোন ক্ষেতি নেই
খাতার পাতায় ফসল
কলকাতা চেটেপুটে খায়।

বউ বাচ্চা খায় কি ? মাথায় হাত
অনেক ভাবনা। কাজ নেই দেখে
চল যাই সব আন্দামানে,
বছরান্তে ঘরে ফেলে মরদ
গাঁটি টাকার থলে, গাল জুড়ে কোদাল দাঁতের হাসি
কিন্তু একি সব্বোনাশ !
মাগী তার ঠাট বাহারে অন্য কথা কয়
মজল শেষে হারানের পোর সাথে।

ওগো হাসপাতাল দিদি —
প্যাট যে আর থামতে চায় না
পাঁচখানা বিয়োলাম
প্যাটে যে আর একখান নড়ে
দ্যাখো দিকিন ভাল করে
শরীলডায় হাড় ক-খান
একখান দামড়া ট্যাবলেট দাও তো
মিনসেটাকে ঠেকাই।