দুস্তর প্রান্তর শেষে, গেরুয়া বসনে হেসে,
সূর্য্য ঐ যায় অস্তগামী।
স্বর্ণালী রূপরাশি, নীলাম্বর ভেলায় ভাসি,
জননীর বুকে এল নামি।
বালুকাসাগর বেয়ে, ধীর পদে যায় ধেয়ে,
উট, তার পিঠে মরুযাত্রী।
সমস্ত দিন যাপে, সূর্যের খরতাপে,
উত্তপ্ত হইল ধরিত্রী।
ক্লান্ত, রুক্ষ বেশে, শ্রান্ত দিনের শেষে,
মরুদ্যানের দেখা মেলে।
তৃষ্ণায় ছাতি ফাটে, কখনও বা পথ কেটে,
মরীচিকা লুকোচুরি খেলে।
দিন চলে গেলে পর, ধূধূ ঐ প্রান্তর,
একা বেদনার নির্যাস।
ঝোপঝাড়, ক্যাকটাস্, বাতাসের ফিসফাস্,
আঁধারের দীর্ঘশ্বাস।
শিশির পড়িছে স্বতঃ, রাত বেড়ে যায় যত,
জ্যোৎস্নার আলো যায় বাড়ি।
সমস্ত রাত যেন, আরব্য রজনী হেন,
স্বর্গোদ্যান হয় বালিয়াড়ি।
শীতল হইলে কায়া, স্বচ্ছ হয় পরছায়া,
দুঃখ তার আসিতেছে কমি।
এখন বন্ধ সব, আর নয় কলরব,
ঘুমায়ে পড়েছে মরুভূমি।