ফিরে পাওয়া

নিঃশব্দে কবে চলে গেছো দালান হয়ে উঠোন পেরিয়ে-

সুগন্ধী শিউলির বনে। 

ঘাসের সোঁদা গন্ধ বাতাসে, 

না জানি কি দারুণ আশ্বাসে, 

খেলা করে আপনার মনে, 

চলে গেলে পিছু ডাক এড়িয়ে।

 

কিশলয় ডেকেছে তোমাকে আর মগডালে শালিক পাখি-

মড়ক লেগেছে ধানক্ষেতে, 

সে তো তুমি দেখেও দেখনি, 

জুঁই, চাঁপা, চন্দ্রমল্লিকার লাবনী, 

ঝলসে গেছে কখন বজ্রপাতে, 

তবু রয়ে গেছে দেখা বাকি।

 

সেদিনের আধো আলো রাতে, আধখানা চাঁদ ছিল আকাশে 

একফলা ইস্পাতের মতন, 

আর ছিল সপ্তর্ষির সারি, 

হাতে উদ্যত তরবারি, 

কাটতে চায় সূর্যরতন, 

জন্ম লাভের প্রবল উচ্ছ্বাসে।

 

চিরায়ত দিনের পর রাত্রি আসে, রাত্রির পর দিন-

আসোনি তবু দিয়েছ হাতছানি, 

সময়ের নাগরদোলায়, 

কতদিন এভাবে হেলায়, 

কেটে গেছে হিসেব রাখিনি। 

স্মৃতি তার সবই প্রায় হয়ে গেছে লীন।

 

অবশেষে একদিন সমুদ্রতীরে সন্ধ্যাবেলায় বসে 

দেখি ঢেউগুলো ওঠে-নামে। 

যেন পিরানহা মাছের কেলি, 

অম্বরে সহসা ওঠে উজলি 

স্বর্ণালী জরি একফালি স্বর্গধামে; 

মাটির বুকে এল নামি, আকাশের তারা খসে।।