চিতা

সুনীল শুভ্র অভ্রলোকে জীবনের স্পন্দন 

সূর্যকে দেয় রঙীন কাগজে মুড়ে, 

পাখির সঙ্গে রূপালি মেঘের নিবিড় বন্ধন 

সময়কে চায় রাখতে বাক্সে পুরে। 

সমুদ্রের ঢেউয়ের ধোঁকায় 

ঝিনুক-মুক্তো ডিগবাজি খায়, 

ঢেউয়ের মাথায় ফেনার ঝুঁটি ডাকছে যে হাত নেড়ে 

গর্জনে তার বাজছে সেতার অতল-গভীর নীড়ে।

 

চন্দ্রমুখীর শনে ভাসে চন্দনের সুবাস 

জরিবুটিক আঁকা স্বচ্ছ তিমির, 

বিদ্যুতের ঝিলিকে জলোচ্ছাসের আভাস 

অস্থির বুঝি স্নিগ্ধ সমীর। 

বেত্রবতী নদীর তীরে 

জবাকুসুম উর্বশীরে, 

শূন্যহিয়া পরকীয়া স্পর্শে আভাসে 

চিত্রলেখা জোনাকীদের নীরব হরষে। 

সফেন মেঘমালা রাশি ভাসছে বাতাসে, 

উজ্জ্বল দিবাকর তার শিরোপরে 

স্বর্ণালী রঙ হয়েছে কালো আঁধার আকাশে, 

পরনে তার বেনারসী লাল পেড়ে 

জ্যোৎস্না সাজায়ে দিয়াছে যতনে 

কালোর পোঁচ হলুদ রতনে 

রক্তিম আভা দূর পারাবারে আহ্বানে প্রাণ-মিতা। 

সবেগে ধাবিত হলুদের পরে কালো ডোরা কাটা চিতা।।