আবহমান

হৃদয়ের গলি খুঁজি, খুঁজতে গিয়ে ও-পাজি, প্রেম কবে ফেলেছে গুলায়ে, 

সময়ের রাস্তাটা, পরাণের বুকফাটা, চিৎকারে গিয়াছে হারায়ে। 

শুন্য বুকেতে হিম, আম, জামরুল, নিম-দুচোখে স্বপ্ন অনিমিখ, 

আসে যায় খেলা করে, সবুজ মাঠের পরে, হলুদ-পা বাদামী শালিক। 

সোনালী ধানের গোলা, বাতাসেতে খায় দোলা, গোলাতে তাহার অবিরত, 

করালের কালো ছায়া, সরু দাঁতে খুঁটে খাওয়া, মড়কের ইঁদুরের মতো। 

বারবার পিছু ফিরে, সবুজ আতাকে চিরে, খেতে চায় শুধু আতা-ক্ষীর, 

আঁধার রাতের খল, লাল রঙা নাটা ফল, কৃষ্ণরূপে লালাভ আবীর, 

শটিবনে গুলঞ্চলতা, দোয়েলের কথকতা, ধূসর ফিঙের ফিরে আসা, 

চালতা বনের কাছে, বৃদ্ধ অশ্বত্থ গাছে, বাবুই বুনেছে তার বাসা। 

নদীতীরে মাছরাঙা, সাদা বক ডানাভাঙা, আর বুনো সাদা রাজহাঁস, 

গাংচিলের ঝাঁক, ঘাই-হরিণীর ডাক, পৃথ্বির গলে নীল ফাঁস। 

অস্ত গিয়েছে রবি, মন্দির দালানে কবি, চুপে ঠারে শোনে শঙ্খধ্বনি, 

শুভ্র ধারায় ইন্দু, শিশিরের চন্দ্রবিন্দু, এলো চুলে তার, আঁধার বেঁধেছে বিনুনি।।