স্বচ্ছ তিমির শান্তির নীড় আঁধার চিত্রপটে
ছায়া সুনিবিড় পড়ছে শিশির জোনাকীর ফুল ফোটে
আম্রমুকুল সরিষার ফুল হলুদের সন্ধানে
জ্যোৎস্নাস্নাত পথ আবৃত সোনালী ক্ষেতের ধানে।
বনপালানো কাঠবিড়ালী ঘুরছে খড়ের চালে
দিগন্ত পারে রাত্রির চিল বেশী করে নীল ঢালে
ঝিঁঝিঁর ডাক নীরবতা ভেঙে ছুটে যায় পথ চিরে
মৃত মানুষের আত্মার মত পৃথিবীর গহ্বরে।
শূন্য পারে একফালি চাঁদ আর শত কোটি তারা
সপ্ত-ঋষি, কালপুরুষের বংশধরের চারা
রূপসী নীলিমা ধারণ করেছে ময়ূরের নীল পুচ্ছ
এককোণে তার রক্তিম আভায় লাল করবীর গুচ্ছ।
ছদ্মবেশী বাতাস আজকে সবুজের গালিচাতে
দিয়ে গেছে তার কোমল স্পর্শ হিমেল, নরম হাতে,
শুকনো পাতার মর্মরে শোনা যায় বিভাবরী তান
কুহু! কুহু! স্বরে ডাকিছে কুহকী থামে না তাহার গান।।