অনাদি অনন্তকাল পূর্বে শাপ দিয়াছে দুর্বাশা
পতন তোমার অনিবার্য হে কীর্তিনাশা।
জন্ম-জন্মান্তর ধরি পূণ্যাত্মার রক্তে লেখা ইতিহাস
অগ্রাহ্য করিলে তারে ছিঁড়িয়া করিলে উপহাস
দেবীর মূর্তি হতে ছিঁড়িয়া লইলে তার মণিহারখানি
কোষ হতে তরবারি বাহিরিয়া কাটিলে মন্দিরের ঘন্টা,
ধ্বনি তার উঠিল ঝনঝনি
প্রতিধ্বনি ভাসে তার বাতাসে বহিয়া
কীর্তির নির্যাস লহিয়াছ দুহাতে নিঙাড়িয়া
ধর্মের ঐতিহ্য লয়ে খেলিয়াছ পাশা,
বুঝিতে চাহ নাই পরম্পরার ভাষা।
আত্মঅহংকারে মদমত্ত হস্তী যথা তুমি
আপন খেয়াল বশে খুঁড়িয়াছ ভূমি
চরিতার্থ করিয়াছ আপন লালসা,
কীর্তিনাশা;
দেব যথা আপনারে প্রতিষ্ঠিতে চাহিয়াছ পৃথিবীর পরে
আজিকে জবাব তার দিতে হবে মানুষের রাজদরবারে
বহাইয়াছ কত মানুষের রক্ত, আরও কত করিয়াছ বধ
রক্ত দিয়া আজ তবে কর তার সব ঋণশোধ,
অস্ত্রের আঘাতে ছিন্ন করিয়াছ দেবমূর্তি,
ধূলিধূসরিত দেবাঙ্গন।
কীর্তিমান আজ ফিরি চাহিয়াছে তাহার কীর্ত্তি
ছিন্ন মস্তকে তোমার-"জয় হে জনার্দন”!