ঢেঁকুর কোনো রোগ নয় - ডা.অনির্বাণ চ্যাটার্জি

(ঢেকুর কোনো অসুখ নয়। এটা একটা উপসর্গ মাত্র। মূলত শরীরের ভেতরের  বেশি এসিডিটি থেকেই ঢেকুরের সূত্রপাত। এই জাতীয় এসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়ার নানা দিক নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন ডা.অনির্বাণ চ্যাটার্জি)

ঢেকুর কি?
ঢেকুর এসিডিটি থেকে তৈরি হয়। কখনো কখনো ঢেকুর ওপরের দিকে উঠে এসে গলা দিয়ে বেরোয়। আবার কোনো কোনো সময় শরীরের নিচের অংশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। আবার হার্নিয়া, স্টমার্ক ও চেষ্ট এর মধ্যে হলে, ভালভ অনেক সময় কাজ না করলে পেটের খাবার বুকে উঠতে থাকে _ এর থেকেও ঢেকুর তৈরি হয়। আলসার ও গ্যাস্ট্রাইটিস থেকে ঢেকুর ঘন ঘন উঠতে থাকে। এ ছাড়া অনেক দিন ধরে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যথার ওষুধ খেতে থাকলে গ্যস্টাইট্রিস হয়ে থাকে। পেটের গলব্লাডার ও প্যাংক্রিয়াসের অসুবিধা থাকলেও ধেকুর উঠতে থাকে। কখনো আবার একটানা তিনদিন পেট পরিষ্কার না হলে, পেতে ফোলাভাব দেখা যায় ও ঢেকুর ওঠে। তবে শরীরের মধ্যে অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি হয়ে ঢেকুর ঠিক সময় বেরিয়ে আসে না। তখন অন্টাসিদ খেয়ে এসিডিটি কমানোর চেষ্টা করা হয়। তাতেও ঢেকুর না উঠলে আঙুল চালিয়ে বমি করার চেষ্টা করা হয়। এর থেকে শরীরের ভেতরের অংশ ছিঁড়ে গিয়ে রক্তপাত হতে পারে।

একনজরে দেখে নেওয়া যাক ঢেকুর কী কারণে হয়:
১, কোল্ডড্রিংকস বেশি খেলে ধেকুর হয়।
২, কিছু মশলা ও তরল জাতীয় খাবার থেকে শরীরে গ্যাস তৈরি হয়।
৩ দ্রুত খাবার খেলে শরীরের বাইরের বাতাস ঢুকে যায়, এর থেকে ধেকুর উঠে থাকে।
৪, হ্যাঁ করে জল ধক ধক করে খেলেও ঢেকুর উঠতে পারে।
৫, বেশি ভাজা খেলেও ঢেকুর হয়।
৬, বেশিক্ষণ না খেয়ে থাকলে গ্যাস থেকে ঢেকুর উঠতে থাকে।
৭,নিয়মিত অ্যালকোহল সেবন করলে শরীরে এসিডিটি হয় যার ফলে ধেকুর হয়।
৮, বেশি পরিমাণে জল না খাওয়ায় শরীরে এসিডিটি থেকে ধেকুর হয়।

ঢেকুর নিরাময়ের উপায়:
১, খাবার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে তবেই খাওয়া উচিত।
২, দিনে দুই থেকে তিন লিটার জল খেতে হবে।
৩, নিয়মিত ফল খাওয়া জরুরি
৪, পেট খালি রাখা চলবে না।
৫, খাবার বেশিক্ষণ ফেলে রাখা যাবে না।