কথার কথা
সময়টা যে দ্রুত বদলে যাচ্ছে তা বলাই বাহুল্য। আমাদের চলা বলা আমাদের আচরণ। সারাক্ষন ভয়।আতঙ্ক। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন পরিস্হিতি না বদলালে আমরা হয়তো অনেকেই মানসিক ব্যাধির শিকার হতে পারি। কথাটা হলো, এই রকম অবস্থা থেকে আমরা কি বেরোতে পারি বা পারা সম্ভব? অনেকেরই মত সময় এসেছে একটু ইতিবাচক হওয়ার। আমরা কি মনে করছি আমাদের দেশের স্বাস্থ্যের যা পরিকাঠামো তাতে করে এই অতিমারীর মোকাবিলা সম্ভব? মোটেই নয়। তাহলে কি করবো আমরা? রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা, সতর্কতা মানতে চেষ্টা করবো। অন্যকে এই সতর্কতাগুলি জানানোর চেষ্টা করবো আর নেতিবাচক মানসিকতাকে নিজের ত্রিসীমানায় আনতে দেব না। যে কাজগুলো প্রতিদিন করতাম সেই কাজ গুলো একটু একটু করে শুরু করা। চার পাশের মানুষগুলো কে কেমন আছে তাদের খবর নেওয়া। আসলে একটা অচল অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে চাওয়া। অবশ্যই মনে রাখবো আমার কোনো হটকারী সিদ্ধান্ত অপরের যেন অসুবিধার কারণ না হয়। এই দমবন্ধ করা পরিস্থিতির শিকার সবাই, বিশেষ করে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষজনেরা। ট্রেনে বাসে যারা হকারী করেন তাঁরা কি কষ্টের মধ্যে যে দিন কাটাচ্ছেন তা বলার নয় ! ট্রেন যখন চলতে শুরু করবে তখন এদের সবাইকে দেখতে পাবো তো ! কে জানে।
নতুন নতুন পেশায় নতুন মানুষ। পেটের টানে নেমে পরেছেন নানান কাজে, যে কাজ তিনি হয়তো কোনদিন করেন নি। কতরকম আশঙ্কা ভিড় করে। তবু আশা ছাড়ি না।
ভাবলে অবাক হই শিক্ষা ব্যবস্থায় অনলাইন সিস্টেমের বার বাড়ান্ত দেখে। একবারও কেউ ভাবছে না যে ছেলে মেয়ে গুলো এই অনলাইন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না তাদের মনের অবস্থা কি হচ্ছে। এই ব্যবস্থা কি সার্বজনীন করা সম্ভব ? সম্ভব যদি না হয় তাহলে বিকল্প কোনো পরিকল্পনা করে সকল ছাত্র ছাত্রীকে পঠন পাঠনের অন্তর্ভুক্ত করা যায় ? সেটাও ভেবে দেখার সময় এসেছে।
তপের তাপের বাঁধন কেটে বর্ষা এসেছে। একটু
হলেও প্রকৃতি নির্মল হয়েছে এই অতিমারীর
দাপটে। এখন ' নিবিড় বনশাখার 'পরে আষাঢ় মেঘে বৃষ্টি ঝরে,'। কিন্তু নিদ্রাহারা প্রাণে শুধু ' বিরামহীন বিজুলীঘাত' - ই নয় অসংখ্য প্রশ্ন আমাদের উদ্বেল করে তুলছে।
তবু অনন্ত শুভ কামনা বুকে রেখে প্রকাশ পেল
পরম্পরা ই-ম্যাগ সপ্তম সংখ্যা আর সপ্তম সংখ্যায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিবন্ধ রয়েছে আর থাকছে গল্প কবিতা। আশা করি ভালো লাগবে এই সংখ্যা।
ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন।
গৌতম দাশ
সম্পাদক : গৌতম দাশ
সম্পাদনা সহযোগী : মলয় রক্ষিত
উপদেষ্টা মন্ডলী
ডা. গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ লাহা, শর্মিষ্ঠা নাথ, বিজয় দত্ত, ডা. ভাস্কর দাস, সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য, অরণি বসু, সুশীল নাগ, কুণাল চট্টোপাধ্যায়, অমর নাথ, রক্ষিত লিলি হালদার, অঞ্জনা ঘোষ, রামকিশোর ভট্টাচার্য, আশিস সরকার, অপূর্ব কৃষ্ণ দত্ত, বোধিসত্ত্ব বন্দ্যোপাধ্যায়, পল্লব বরন পাল, রবীন বন্দ্যোপাধ্যায়, আনন্দ দাশগুপ্ত, গায়ত্রী রায়, স্বপন বিশ্বাস, সুভাষ ভদ্র, সৌম্যশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিশেষ সহায়তা
নিরুপম আচার্য, রুদ্র কিংশুক, আইভি চট্টোপাধ্যায়, শ্রেয়া ঘোষ, বিদিশা সরকার, মণিদীপা নন্দী, বিশ্বাস নিবেদিত, আচার্য স্নিগ্ধা চন্দ্র, আলো পাল, গৌতম সাহা, বোধিসত্ত্ব ভট্টাচার্য, পম্পা দেব, অনমিত্র রায়, সৌরভ হাওলাদার, মানস শেঠ, রিমি মুৎসুদ্দি, দেবাশিষ ভট্টাচার্য, অংশুমান ঘোষ, রিপন রায়, তন্ময় মালাকার, দেবাশীষ সরকার।
কলকাতা যোগাযোগ ও লেখা পাঠানোর ঠিকানা
পরম্পরা প্রকাশন